প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের ঠিক আগেই মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানালেন, তিনি দুই দেশকেই চাপ দিয়েছিলেন সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য। অন্যথায় ব্যবসার উপর প্রভাব পড়বে বলেও দুই দেশকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তিনি। দু’পক্ষকেই তিনি চাপ দিয়েছিলেন সংঘর্ষ বন্ধ করতে হবে, নয়তো তাদের সঙ্গে কোনও ব্যবসা করা হবে না।
সোমবার (১২ মে ) হোয়াইট হাউসে বক্তৃতার শুরুতেই ভারত-পাকিস্তানের প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন তিনি। ট্রাম্প জানান, মার্কিন প্রশাসন মধ্যস্থতা করে দুই দেশের মধ্যে তাৎক্ষণিক সংঘর্ষবিরতি ঘটিয়েছে। এটি একটি স্থায়ী সংঘর্ষবিরতি হবে বলেও আশাবাদী তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে একটি ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ বন্ধ করা গিয়েছে। দুই দেশেরই প্রচুর পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছিল, দুই দেশের কেউই থামতে চাইছে না।” ট্রাম্প জানান, এই অবস্থায় মধ্যস্থতা করতে নেমে দুই দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আমেরিকা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা বলেছিলাম, এটা বন্ধ করুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য করতে পারি। আপনারা এটা বন্ধ করলে আমরা বাণিজ্য করতে পারি। কিন্তু যদি আপনারা এটা বন্ধ না-করেন, আমরা (আপনাদের সঙ্গে) কোনও বাণিজ্য করব না।” এর পরে ট্রাম্প নিজেই জানান, বাণিজ্যিক বিষয়টিকে তিনি যে ভাবে ব্যবহার করেন, তা অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারেন না।
ট্রাম্প আরও বলেন, “তারা (ভারত এবং পাকিস্তান) যুদ্ধ বন্ধ করার নেপথ্যে অন্যতম বড় কারণ হল ব্যবসা।”
মার্কিন মধ্যস্থতা পর্বের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি জানান, ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশের নেতারাই নিজেদের দিক থেকে অটল ছিলেন। এই সংঘর্ষবিরতিতে মধ্যস্থতা করতে আমেরিকা অনেক সাহায্য করেছে বলেও দাবি ট্রাম্পের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশকেই বাণিজ্যের দিক থেকে সাহায্য করতে প্রস্তুত আমেরিকা। বাণিজ্য নিয়ে ইতিমধ্যে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। শীঘ্রই পাকিস্তানের সঙ্গেও আলোচনা শুরু হবে বলে হোয়াইট হাউসের বক্তৃতায় জানিয়েছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এএজে